মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে মুসলিম বিধবাকে ধর্ষনের দায়ে সুব্রত মালাকার (৩৮) নামের এক হিন্দু যুবককে পুলিশ আটক করার খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিত বিধবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীমঙ্গল ইউপির রূপসপুরে জনৈক কুতুব মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাসকারী ৩৬ বছর বয়সী বিধবা হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রঘুরামপুরের মৃত মোঃ সেলিম মিয়ার স্ত্রী। ২০০৮ সালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে সেলিমের মৃত্যু হলে একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে বিধবা ভিকটিম এখানে বসবাস করছেন। বিগত ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পরানধর গ্রামের প্রদীপ মালাকারের ছেলে সুব্রত মালাকার (৩৮) নামীয় দুই সন্তানের এক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সাথে বিধবার পরিচয় এবং মোবাইলে নিয়মিত কথাবার্তা হতো। একপর্যায়ে সুব্রত বিধবার বাসায় আসাযাওয়া এবং ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরি হলে সুব্রত স্ত্রীকে ডির্ভোস দিয়ে হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আশ্বাস এবং বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলে সুব্রতকে বিধবা বিভিন্ন সময়ে বিবাহের জন্য চাপ দিলে সে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে।
এমতাবস্থায় সর্বশেষ ঘটনার তারিখ ও সময় ১১/০৪/২০২৫খ্রিঃ রাত অনুমান ১টায় সুব্রত বিধবার বাসায় গেলে বিধবা তাকে হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করার কথা বললে সে বিয়ে করিতে অস্বীকৃতি জানায়। সুব্রত বিধবার বাসায় অবস্থানকরাকালে বিকাল অনুমান ৪টা তার স্ত্রী অমৃতা মালাকার স্বামীর খোজ করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ নিয়ে বিধবার বাসা থেকে তাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিত বিধবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৮, তাং ১২/০৪/২০২৫ইং।
শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আমিনুল ইসলাম জানান, প্রবাস ফেরত এক বিধবা নারী (৩৬)কে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিগত দেড় বছর ধরে ভূয়া স্বামী স্ত্রী সেজে বাসা ভাড়া নিয়ে শহরে বসবাস করছে এমন অভিযোগে দুই সন্তানের পিতা সুব্রত মালাকার নামের এক ধর্ষককে ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গল শহরতলীর রুপসপুর থেকে গ্রেফতার করে জেলা আদালতে প্রেরণ করেছি।
সর্বশেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২৭
পাঠকের মন্তব্য