মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল জনতা

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মৌলভীবাজারে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা কয়েক ঘন্টা ধরে প্রধান সড়কের চৌমোহানায় অবরোধ করে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে শতাধিক বিক্ষোভকারী “একটা একটা লীগ ধর, সকাল-বিকাল নাস্তা কর”, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতেই হবে”, “আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না”—এর মতো প্রাণঘাতী স্লোগান দিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে।  

ছবি মুক্তিবাণী

বিক্ষোভকারীরা শহরের কেন্দ্রীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে, যানবাহন চলাচল অসম্ভব করে তোলে। এতে জটিল যানজটে পড়ে সাধারণ মানুষ। স্থানীয় দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেচাকেনা হয়। পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চাইলেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথোপকথনে ব্যর্থ হয়।

ছবি মুক্তিবাণী

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা  বলেন,”আওয়ামী লীগের শাসন বৈষম্য, দুর্নীতি ও নিপীড়নের প্রতীক। এই দল বাতিল না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না। আমরা আমাদের ভাইদের রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্য একজন নেত্রী বলেন , “বর্তমান সরকার জনগণের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে চায়, কিন্তু আমরা মাঠে নেমে প্রমাণ করব—জনতার জয় হবেই।”

ছবি মুক্তিবাণী

মৌলভীবাজার প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা জানান, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার সকলের আছে, কিন্তু রাস্তা অবরোধ বা সম্পত্তি ধ্বংসের কোনো অধিকার নেই। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ছবি মুক্তিবাণী

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু সরকার যদি মানুষের দাবি না শোনে, তাহলে এমন আন্দোলন বাড়বেই।”

বিক্ষোভকারীরা আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাদের দাবি পেশ করার ঘোষণা দিয়েছে, অন্যথায় দেশব্যাপী আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার যদি দ্রুত সংলাপের পথ না বেছে নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হতে পারে।

ছবি মুক্তিবাণী

মৌলভীবাজারের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জনগণের ক্ষোভ ও শাসকগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও