মোদির ভারতে এবার মসজিদের ভেতরে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা, ক্ষোভ সর্বত্র

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্স :

এবার ভারতের রাজস্থানের একটি মসজিদের ভেতরে এক ইমামকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় সব মহলেই চাপা ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ ও নিন্দায় সোচ্চার হোন সভ্য সমাজের বাসিন্দারা।

এদিকে, তিনদিন পরেও অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেই কারণও তারা জানাতে পারেনি। ফলে মোদির ভারতে আলোচিত সব মুসলিম হত্যাকাণ্ডের মতো ইমাম হত্যার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াও যে খুব একটা এগোবে না তা নিশ্চিত মনে করছেন নেটিজেনরা।

শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ দাবি করলেও গোটা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার রাজস্থানের আজমিরে মসজিদের ওই ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মুখোশপরা অজ্ঞাত তিন দুর্বৃত্ত। মসজিদের ভেতরে ছয় শিশুকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মোহাম্মদ মাহির নামের ওই ইমাম। এ সময় আক্রান্ত হন তিনি। মুখোশপরা তিন দুর্বৃত্ত মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মোহাম্মদ মাহিরের ওপর আক্রমণ চালায়। ওই সময় তাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে তারা। ৩০ বছর বয়সী ইমাম মোহাম্মদ মাহির উত্তরপ্রদেশের রামপুরা এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে ফেসবুকে মো: নুর রহমান লিখেছেন, ভারতে সাধারণ নির্বাচন চলছে,,, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণ করে ভোট ব্যাংক বাড়াতে চায়, উগ্রবাদী দলের লোকেরা,,।এই জন্যই সুপরিকল্পিত ভাবে মুসলমানদের উপর হামলা করা হচ্ছে,,,।

কামরুল ইসলাম লিখেছেন, আমাদের দেশে হিন্দুদের সাথে এমন করলে তো সাম্প্রদায়িক হামলার নাম দিয়ে বিচার শুরু করতো। আসলে বাংলাদেশ, ভারত দুই দেশেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই ভালো আছে।কষ্টে আছে মুসলমান মানুষ।

ভারতীয় নাগরিক দায়িতা ঘোষ লিখেছেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে লজ্জিত। ছি:, এই ঘটনার সাথে যুক্তদের কঠিন শাস্তি চাই।

কায়েস সরকার লিখেছেন, ইসরায়েল ও ভারত মুসলমানদের চরম শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের কোনো বিচারই করবে না ধর্মান্ধ মোদী সরকার।

নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ভারতে মুসলিমদের যেভাবে ধর্মীয় কারণে হত্যা করা হচ্ছে, এতে কি ভারত মুসলিম শূন্য হবে, হবেনা। ধর্মীয় বিদ্বেষ জড়িয়ে লাভবান হচ্ছে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী। ধর্মীয় এমন উগ্রবাদীতায় দেশটির ক্ষতির পরিমাণ এখনো আঁচ করতে পারছেন না তারা।

মোহাম্মদ সানাউল্লাহ লিখেছেন, ভারতের কিছু জনগণের হিন্দুত্ববাদ ও উগ্রতা এতো বেড়েছে যা,,,, তারা সকল ভারতীদের ঘৃণার পাত্র করে তুলছে। আমার মতে এই উগ্রতা মোদি সরকারের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে। এটা ভারতের জন্য অশনিসংকোত। যে কোন মূহুর্তে ভারত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হওয়ার বেশী দেরি নাই।

শাকিল ফকির লিখেছেন, মানুষের যখন পতনের সময় আসে তখন তাদের লাফালাফি ও বেড়ে যায় কয়টা মারবি বেটা ইসলাম সরাইতে কত লোক আইলো গেলো ইসলাম আসে এবং থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ সত্যর জয় সবসময় হত্যাকারীদের কাছে বিচার চাইলেই বা কি না চাইলেই বা কি এর বিচার আল্লাহ করবে।

নাজমুল হাসান লিটন লিখেছেন, শুধু ভারত নয়, মোদি ক্ষমতায় আসার পর, বাংলাদেশের হিন্দুরা আর হিন্দু নাই, এদের কর্মকান্ড পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করার মতো,আমরা ফরিদপুরে কি দেখলাম, আমাদের দেশে আমরা অসহায় জাতি, ধৈর্য্য ধরুন আল্লাহর কাছে সাহায্য চান।

মো: সাজ্জাদ লিখেছেন, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র উগ্রবাদী দেশ ভারতের কাছ থেকে আর বেশি কি আশা করা যায় যে ধর্মের দোহাই দিয়ে গণহত্যা চালায় তীব্র নিন্দা জানাই এমন ধিক্কার জানাই ওই সব উগ্রবাদীদেরকে ধর্মের নাম দিয়ে যারা মানুষকে হত্যা করার জন্য নেশায় মেতেছেন।

সর্বশেষ আপডেট: ২ মে ২০২৪, ০২:১০
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও