“ড. ইউনূসের সম্মানে শেখ টিউলিপের আকুতি: গার্ডিয়ান রিপোর্টে যা উঠে এলো”

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান এখন শেখ পরিবারের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত চিঠি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নাতনি শেখ টিউলিপ কীভাবে ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। অন্যদিকে, পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য প্রবাসী তার অনুগতদের ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছেন, যিনি ১০ তারিখে কিং চার্লসের কাছ থেকে ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করতে ব্রিটেনে আসছেন।  

ছবি মুক্তিবাণী

এই অপপ্রয়াসে যুক্ত পলাতক মন্ত্রী, মেয়র ও সংসদ সদস্যদের বেশিরভাগই ব্রিটেনে নিম্নস্তরের কাজে নিয়োজিত—কেব বা উবার ড্রাইভার, রেস্টুরেন্ট কর্মী, কেয়ারগিভার কিংবা শরণার্থী আশ্রয়প্রার্থী। ব্রিটিশ সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে, ড. ইউনূসের বিরোধিতায় লিপ্ত হলে শাস্তি ও শরণার্থী মর্যাদা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হবে।

এদিকে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতৃত্ব ও তারেক রহমানের প্রতি আকুল আবেদন—ড. ইউনূসের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বকে সম্মান জানিয়ে নিজেদের সম্মান বৃদ্ধি করুন। তারেক রহমান, আপনার দলের কিছু সিনিয়র নেতা ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত, যারা ক্ষমতায় গিয়ে চাঁদাবাজির মাধ্যমে জীবন চালাতে চায়। এরা কখনোই চায় না আপনি দেশে ফিরে নেতৃত্ব দিন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ চায় যোগ্য নেতৃত্ব, যা ড. ইউনূস বা শহীদ জিয়ার মতো নেতাদের মাধ্যমে সম্ভব।

“ড. ইউনূস শুধু একটি নাম নন, একটি প্রতিষ্ঠান। তার হাতেই সম্ভব বাংলাদেশের পুনর্গঠন। কিন্তু এজন্য দরকার রাজনৈতিক ঐক্য ও গণমুখী সংস্কার। তারেক রহমান, সময় থাকতে সচেতন হোন—ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে নেতা হিসেবে, নাকি দালালদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে? ব্রিটিশ শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে কাজে লাগান। ড. ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলুন একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। কারণ, এই দেশের ৯০% মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাই শেষ কথা।”

মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও