জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪

পাকিস্তানে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ৪০

মুক্তিবাণী অনলাইন ডেস্ক :

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৪০ হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় একশ মানুষ।

সোমবার স্থানীয় সময় সকালে সিন্ধুর ঘোটকি জেলার দারকি শহরের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ডন নিউজ জানিয়েছে।

ডনের প্রতিবেদনে দেশটির রেলওয়ে বিভাগের এক মুখপাত্রের বরাতে বলা হয়েছে, মিল্লাত এক্সপ্রেস করাচি থেকে সারগোদা যাওয়ার পথে লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে ডাউন ট্রাকে চলে যায়।

ওই সময় রাওয়ালপিন্ডি থেকে আসা স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ডাউন ট্রাকে এসে পড়লে লাইনচ্যুত ট্রেনটির সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় রাইতি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের কাছের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। তাই নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

দুর্ঘটনর পরপরই ঘোটকি, দারকি, ওবারো ও মিরপুর মাথেলো এলাকায় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং সব চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের দায়িত্বে ফেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।

ঘোটকি জেলার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উসমান আব্দুল্লাহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এখনও কত মানুষ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের ভেতর আটকা পড়ে আছেন তা বলা কঠিন। ছয় থেকে আটটি বগি পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ দুর্ঘটনায় ‘হতাশা’ প্রকাশ করে দায়ীদের খুঁজে বের করতে পূর্ণ তদন্তের ‘আশ্বাস’ দিয়েছেন।

দুর্ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে ট্রেনের বেশ কয়েকটি দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগি উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কী কারণে প্রথম ট্রেনটি লাইচ্যুত হয়েছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রেলওয়ের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাস্থল অনেক দূরে হওয়ায় তাদের উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হচ্ছে।”এখনও বেশ কিছু মানুষ বগির ভেতর আটকা পড়ে আছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

পাকিস্তানে নিয়মিত ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। রেললাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঠিকমত না করা, পুরাতন ইঞ্জিন এবং সিগন্যাল বাতি ঠিক মত কাজ না করার দেশটিতে ট্রেন দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ।

পাকিস্তান রেলওয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সেখানে ৭৫৭টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ, বছরে গড়ে প্রায় ১২৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও অনেক বেশি হয়। কারণ, ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় দেশটির দরিদ্র মানুষেরা ট্রেনেই বেশি ভ্রমণ করেন। তাই যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে সবসময় ভিড় লেগে থাকে।-রয়টার্স

সর্বশেষ আপডেট: ৭ জুন ২০২১, ২১:২৩
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও