প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ লা লিগা ছেড়ে মেসি এখন থেকে খেলবেন ফ্রেঞ্চ লিগে, যা কিনা ফরাসির লিগের জৌলুস আরও বাড়িয়েছে বলে মত অনেকের।
আর সেই ফরাসি লিগেই ঘটল মারামারি-হাতাহাতির ন্যক্কারজনক ঘটনা।
নেইমার, এমবাপ্পেরা যে লিগে খেলেন, সেই লিগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মারামারিতে জড়াল দর্শকরাও! আর সেই ঘটনায় পণ্ড হয়ে গেছে ম্যাচটাই।
এমন লজ্জাজনক আর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে নিসে বনাম অলিম্পিক মার্সেইয়ের ম্যাচে। নিসের মাঠ আলিয়াঞ্জ রিভেইরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল ম্যাচটি।
গোলশূন্য অবস্থায় প্রথমার্ধ খেলা শেষ হয় কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই ঘটে এই অপ্রীতিকর ঘটনা। ৪৯ মিনিটের মাথায় ডলবার্গের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল নিসে।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটের মাথায় মার্সেইয়ের একটি কর্নারের সময় শুরু হয় গণ্ডগোল।
স্বাগতিক দলের সমর্থকরা আচমকাই মাঠের মধ্যে পানির বোতল ছুড়তে শুরু করেন। কর্নার কিক নিতে যাওয়া মার্সেইয়ের খেলোয়াড় দিমিত্রি পায়েতের পিঠে সজোরে এসে লাগে একটি কোমল পানীয়ের বোতল। তিনি প্রথমে হকচকিত হয়ে যান। ব্যাপারটি বুঝে ওঠার পর ক্ষুব্ধ হন। বোতলটি কুড়িয়ে নিয়ে দর্শকদের দিকে উল্টো ছুড়ে মারেন।
তার সঙ্গে যোগ দেন মার্শেইয়ের অন্য ফুটবলাররাও। দর্শকদের সঙ্গে ঝামেলায় না জড়াতে জোর চেষ্টা চালান নিসের ফুটবলাররা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। দর্শকরা আরও উগ্র হয়ে ওঠে।
তারা গ্যালারি ছেড়ে নিরাপত্তাকর্মীদের প্রতিরোধ ভেঙে মাঠে নেমে পড়েন। মার্শেইয়ের ফুটবলারদের আক্রমণ করেন। রীতিমতো তাণ্ডব চালানো শুরু করে তারা। এ ঘটনায় মার্শেইয়ের বেশ কয়েকজন ফুটবলার আহত হয়েছেন।
ঘটনার কয়েকটি ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মার্শেই ফুটবলারদের আহত হওয়ার বিষয়টি দেখা গেছে।
ফ্রেঞ্চ পত্রিকা এল ইকুইপে রিপোর্ট করেছে, মারামারির ঘটনায় মাতেও গুয়েনডোজি এবং লুয়ান পেরেস আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
এর পরও তা না পারা গেলে নিসের প্রেসিডেন্ট জিন পিয়েরে রিভেরে মাঠে নেমে আসেন এবং সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে উচ্চস্বরে দর্শকদের শান্ত হতে বলেন। পরিস্থিতি শান্ত হয়। দর্শকরা যার যার অবস্থানে ফিরে যান।
কিন্তু প্রতিবাদ হিসেবে মার্শেইয়ের ফুটবলাররা ম্যাচের বাকি অংশ খেলতে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানায়। যার ফলে ম্যাচ বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
পাঠকের মন্তব্য