জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪

আজ সেই আলোচিত ৯/১১

মুক্তিবাণী অনলাইন ডেস্ক :

* ঘটনায় বিন লাদেনের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই -তালেবান মুখপাত্র

ইতিহাসের বিভীষিকাময় ৯/১১ আজ। ২০ বছর আগে ২০০১ সালের এ দিনে আত্মঘাতী বিমান হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গর্ব নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা হয়। হামলায় নিহত হয় প্রায় ৩ হাজার মানুষ। আল-কায়দা এ হামলা চালিয়েছে দাবি করে এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট এবং হামলার পর আফগানিস্তান দখল করে নেয় আমেরিকা। অভিযোগ তালেবান সরকারের সাথে আল কায়দার যোগাযোগ আছে।

আজ ঠিক ২০ বছর পর এইদিনেই তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, নাইন-ইলেভেনের প্রভাব পড়েছিল সারা বিশ্বেও। এজন্য মাশুল গুনতে হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশকে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ইরাক, আফগানিস্তানকে দিতে হয়েছে চড়া মূল্য। তথ্যসূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান, সিএনএন, হিস্টরি ডট কম ও নিউইয়র্ক ম্যাগাজিন। এদিকে ২০০১ সালের টুইন টাওয়ার হামলা বা ৯/১১ হামলা তদন্তের পূর্ণাঙ্গ চিত্র এবং গোপনীয় প্রতিবেদন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কংগ্রেস এবং ওই হামলায় আক্রান্তদের পরিবারের প্রবল চাপের মুখে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে আলোচিত ৯/১১ হামলায় আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ নেই বলে দাবি করেছেন তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। অন্যদিনের মতোই জেগে উঠেছিল নিউইয়র্ক সিটি। কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছিল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র নিউইয়র্ক সিটি। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে ঘটে সেই ভয়াল ঘটনা। মুহূর্তেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। টুইন টাওয়ার হিসেবে পরিচিত বিশ্বের অন্যতম উঁচু দালানটিতে আঘাত হানে সন্ত্রাসীদের দখল করা দুটি যাত্রীবাহী বিমান। মুহূর্তের মধ্যেই নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঢেকে গেল নিকষ কালো ধোঁয়ায়।

সবার চোখের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক গৌরবের প্রতীক ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক গৌরবের প্রতীক ওয়াশিংটনের পেন্টাগন ভবনেও হামলা চালায় আরেকটি বিমান। এ ছাড়া পেনসিলভানিয়ায় আরেকটি বিমান দিয়ে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই হামলা চালাতে ১৯ জঙ্গি যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীবাহী চারটি বিমান হাইজ্যাক করে। তাদের সবাই নিহত হয়। এ ছাড়া টুইন টাওয়ার ও এর আশপাশে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ৩৪৩ জন দমকল কর্মী ও ৬০ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ হাজার ৭৪৯ জন প্রাণ হারান। নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক ব্যক্তি, নারী ও শিশু। পেন্টাগনে আত্মঘাতী বিমান হামলায় তখন ১৮৪ জন নিহত হন। এছাড়া, উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে যারা আহত, অসুস্থ এবং বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৮৩৬ জন পরে মৃত্যুবরণ করেন।

এই একটি ঘটনা পাল্টে দেয় গোটা যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে এ হামলার জের টানতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশটির ঋণের খাতায় যোগ হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। যুদ্ধ ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। ওই হামলার পর থেকে কমপক্ষে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক।

রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের কস্ট অব ওয়ার শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চালানো হামলায় নিহত হন ২ হাজার ৯৯৫ জন। ওই হামলায় ক্ষতি হয় ৫ থেকে ১০ হাজার কোটি ডলারের। অবশ্য, গত ২০ বছরে ওয়ান-ইলেভেনের বড় বিপর্যয় থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের ওপর আবার গৌরবের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে ফ্রিডম টাওয়ার। বিশাল বাজেট হাতে নিয়ে এর নির্মাণ শুরু হয় ২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল। প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয় এই ভবনটি নির্মাণে। এবার নিরাপত্তার জন্য রয়েছে আরও অনেক আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যে কোনো বিমান এর দিকে ছুটে এলেই শক্তিশালী রাডারের নিখুঁত গণনায় সেটিকে ভূপাতিত করার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা এতে রাখা হয়েছে।

৯/১১ হামলার ধারণা কীভাবে পেলেন লাদেন: যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এ আল-কায়েদার ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কথা সবার জানা। এই হামলার ধারণা আল-কায়েদার তৎকালীন প্রধান ওসামা বিন লাদেন কীভাবে পেয়েছিলেন, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আল-কায়েদার একটি প্রচারণার সাময়িকীতে দাবি করা হয়, ১৯৯৯ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে মিসরের একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা থেকে ৯/১১-এর হামলার ধারণা পেয়েছিলেন ওসামা। আল-মাসর নামের ওই সাময়িকীতে দাবি করা হয়, মিসরের কোণ্ডপাইলট গামিল আল-বাতৌতির গল্পই ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার প্রেরণা ছিল। আটলান্টিক মহাসাগরে মিসরের যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল, তার কোণ্ডপাইলট ছিলেন গামিল। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে কায়রোগামী বিমানটি গামিল ইচ্ছাকৃতভাবে সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন বলে কথিত রয়েছে।

ওই ঘটনায় বিমানের ২১৭ জন আরোহী নিহত হন। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন ছিলেন মার্কিন নাগরিক। সন্ত্রাসবাদের গুজব সত্ত্বেও পরিবার ও বন্ধুদের দাবি, গামিলের কোনো দৃঢ় বিশ্বাস ছিল না। বিভিন্ন সূত্রের ভাষ্য, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটি আত্মহত্যা বা চাকরি-সংক্রান্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হতে পারে। মিসরের তদন্ত কর্মকর্তাদের ভাষ্য, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য, কো-পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমানটি সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছেন। আরব উপদ্বীপের আল-কায়েদা আনসার আল-শরিয়ার ওই সাময়িকীর তথ্যমতে, মিসরের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর শুনে ওসামা জানতে চান, কো-পাইলট বিমানটিকে পার্শ্ববর্তী কোনো ভবনে কেন বিধ্বস্ত করেননি? আল-মাসর সাময়িকীর দাবি, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণটি জানার চেয়ে বরং বিপর্যয় ঘটানোর নতুন ভয়াবহ কৌশলের দিকে ওসামার আগ্রহ ছিল বেশি।

টুইন টাওয়ারে হামলা: সেদিন ছিল মঙ্গলবার। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন জেট ফুয়েল ভর্তি আমেরিকান এয়ারলাইনসের বোয়িং-৭৬৭ উড়োজাহাজটি আছড়ে পড়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর দিকের টাওয়ারে। উড়োজাহাজটি ১১০ তলা ভবনটির ৮০তম তলায় ঢুকে পড়ে। হামলার সঙ্গে সঙ্গেই নিহত হন শত শত মানুষ, ভবনের ভেতরে আটকে পড়েন আরও অসংখ্য মানুষ। ১৮ মিনিট পরে, সকাল ৯টা ০৩ মিনিটে দ্বিতীয় বিমানটি হামলা চালায়। ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ফ্লাইট ১৭৫-এর আরেকটি বোয়িং-৭৬৭ উড়োজাহাজ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ দিকের টাওয়ারের ৬০তম তলায় আঘাত হানে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টুইন টাওয়ারের উত্তর দিকের ভবনটি ভেঙে পড়ে। ভবনটি ধসে পড়ার সময় ভেতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ছয়জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছিল। প্রায় ১০ হাজার মানুষকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পেন্টাগনে হামলা: ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর তৃতীয় হামলাটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগনে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে পেন্টাগনের পশ্চিম দিকে আঘাত করে আমেরিকান এয়ারলাইনস ফ্লাইট ৭৭-এর বোয়িং-৭৫৭ উড়োজাহাজটি। পেন্টাগনে হামলায় ১২৫ জন সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে জানানো হয়। জিম্মি করা বিমানটির ভেতরে থাকা ৬৪ জনও নিহত হন।

চতুর্থ হামলা: চতুর্থ বিমান হামলাটি হয় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। নিউজার্সি থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করার ৪০ মিনিট পর ইউনাইটেড ফ্লাইট ৯৩ নামের উড়োজাহাজটি ছিনতাই করা হয়। বিমানে থাকা অবস্থাতেই যাত্রীরা নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হামলার বিষয়ে জেনে যান। পরে পশ্চিম পেনসিলভানিয়ার শ্যাংকসভিলের কাছে একটি ফাঁকা মাঠে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ৪৪ জনের সবাই নিহত হন।

আল-কায়েদার সম্পৃক্ততা: ধারণা করা হয়, হামলাকারীদের আর্থিক মদদ দিয়েছিল ওসামা বিন লাদেনের সংগঠন আল-কায়েদা। হামলাকারীদের মধ্যে কেউ কেউ এক বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। বাকিরাও নাইন-ইলেভেনের আগে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ১৯ হামলাকারী সহজেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবেষ্টনী ফাঁকি দিয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে উড়োজাহাজে ওঠেন। উড্ডয়নের পরপরই যাত্রীদের জিম্মি করে পাইলটদের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিলেন হামলাকারীরা।


অর্থনৈতিক প্রভাব: নাইন-ইলেভেনের হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। হামলার পর প্রথম দিনেই নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধস নামে। এক মাসেই চাকরি হারান ১ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ। ধারণা করা হয়, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলায় আনুমানিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের ক্ষতি হয়েছিল। তথ্যসূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান, সিএনএন, হিস্টরি ডট কম ও নিউইয়র্ক ম্যাগাজিন

৯/১১ হামলার ২০ বছর: তিনটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বাইডেন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার বিশতম বার্ষিকীতে নিহত প্রায় তিন হাজার মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি ওই দিনের তিনটি হামলাস্থল পরিদর্শন করবেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন নিউ ইয়র্ক সিটিতে যাবেন। এখানে দুটি বিমান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস করে। যার ফলে নিহত হয় ২ হাজার ৭৫৩ জন। এই দম্পতি হামলার বাকি দুটি ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করবেন। ভার্জিনিয়ার আরলিংটনে তৃতীয় আরেকটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভাইলে চতুর্থ আরেকটি বিমান হোয়াইট হাউসে হামলা চালাতে চেয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু যাত্রীরা জোর করে বিমানটির অবতরণে বাধ্য করে।

৯/১১ হামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের নির্দেশ: ২০০১ সালের টুইন টাওয়ার হামলা বা ৯/১১ হামলা তদন্তের পূর্ণাঙ্গ চিত্র এবং গোপনীয় প্রতিবেদন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কংগ্রেস এবং ওই হামলায় আক্রান্তদের পরিবারের প্রবল চাপের মুখে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার এফবি আই তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই আদেশে তিনি বলেন, ‘৯/১১ হামলার ২০তম বার্ষিকী সামনে রেখে এই হামলা সম্পর্কে তাদের সরকার যা জানে তার পূর্ণ চিত্র জানার অধিকার আমেরিকান জনগণের রয়েছে।’ ওই আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পূর্ণ রেকর্ড প্রকাশ করতে হবে। তবে অতি গোপনীয় কিছু থাকলে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

৯/১১-এর ঘটনায় বিন লাদেনের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই-তালেবানের মুখপাত্র: যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে আলোচিত ৯/১১ হামলায় আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ নেই বলে দাবি করেছেন তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের উত্তরে এ দাবি করেন তিনি।

মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তান কি ফের সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটিতে পরিণত হবে? এনবিসি নিউজের এমন প্রশ্নের উত্তরে জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ২০০১ সালে ওসামা বিন লাদেন যখন আমেরিকানদের জন্য একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়ান, তখন তিনি আফগানিস্তানে ছিলেন। যদিও তার জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ ছিল না, তারপরও এখন আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে,

আফগানিস্তানের ভূখণ্ড কারো বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। এক পর্যায়ে এনবিসি নিউজের সাংবাদিক রিচার্ড অ্যাঙ্গেল বলেন, এতো কিছুর পর এখনও তালেবান সেই ঘটনার দায় স্বীকার করছে না? উত্তরে জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, কোনো প্রমাণ নেই। ওই যুদ্ধের ২০ বছর পরও ৯/১১-এর ঘটনায় তার যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের কোনো ন্যায্যতা ছিল না। এটা ছিল যুদ্ধের অজুহাত মাত্র।

সর্বশেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৩১
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও