জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ¡

রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বের হওয়ার সময় মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। রোববার নির্বাচন কমিশন ভবন- সংগৃহীত
রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বের হওয়ার সময় মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। রোববার নির্বাচন কমিশন ভবন- সংগৃহীত
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্স :

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সাবেক জেলা দায়রা জজ ও দুদকের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন’কে মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। 


রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন নাম দাখিল করেন।


এর আগে ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। দুদকের চাকরি ছাড়ার পর পাবনা থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে তাকে দলের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়।


রোববার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন বিকেল ৪টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।  সোমবার সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে। পরদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।


জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে এ দলের পক্ষ থেকে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তিনিই একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।


গত ৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা থেকে রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংসদের বিরোধী দল এ নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না।


মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পাবনায় ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।


২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে এসব ঘটনার তদন্তে কমিশন’ গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হন তিনি। এইচটি ইমামের মৃত্যুর পর তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়।

সর্বশেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১২:৫১
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও