অপারেশন ডেভিল হান্ট সিলেটে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন যারা: শীর্ষরা পালিয়ে থেকে দিচ্ছেন উসকানী

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
সিলেট প্রতিনিধি:

৫ আগস্টের আগে-পরে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে গেছে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। পদবীধারী সিলেটের স্থানীয় নেতাদের বেশিরভাগ ভারত-দুবাই-যুক্তরাজ্যে-যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার মাঠিতে। সেখানে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানীমুলক পোস্ট করছেন সমানতালে। সেই সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের কলকাটি নাড়ছেন। অনেকে নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্য হাতে তুলে দিচ্ছেন বিএনপির পদবীধারী নেতাদের বগলে। এরকম অবস্থায় সিলেটে অবস্থানরত আওয়ামীলীগ অনুসারী ছোট পদপদবীর নেতারা পড়েছেন বেকায়দায়। এতোদিন নিজদের গা-বাঁচিয়ে চললেও ‌’অপারেশন ডেভিল হান্ড’ এখন আতংক ছড়াচ্ছে তাদের। এর মধ্যে গ্রেফতার হচ্ছেন অনেকে।

সিলেটে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরুর দ্বিতীয় দিনে আরও ৭ জনকে আটক করেছে সিলেট মেট্রাপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী, বিমানবন্দর ও দক্ষিণ সুরমা থানা। আটককৃতদের সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পদবীধারী নেতা। সোমবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদেরকে। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

গ্রেফতাররা হচ্ছেন- সিলেট মহানগরীর ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রব হাজারী (৬২), ৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান কবির (২৯), ১৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিনহাজ ইসলাম সৌরভ (২৬), ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক ফজলুর রহমান রনি (৩৭), ৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি হাসেম খান, ৩৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য ইয়ামিন আহমদ (২৪) ও দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন আফরোজ (৬০)।

এর আগে গত সোমবার অভিযান চালিয়ে সিলেট মহানগরী থেকে ৫ জনকে আটক করেছিল পুলিশ।এছাড়া রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পর্যন্ত বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা ৫ জনকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে যৌথবাহিনীর এই অপারেশন।

অপারেশনে সিলেট থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনেরে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট মহানগরীর ৩৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাহপরাণ বহর আবাসিক এলাকার মৃত মাওলানা জামিল আহমদের ছেলে জাহেদ আহমদ (৩৪) এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালারচক গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য আবদুল জলিল তালুকদার, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সভাপতি অয়ন দাশ (২৭), নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দক্ষিন সুরমা উপজেলার সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নয়ন আদত্য ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদর উপজেলার সহ সভাপতি হাবিব হোসেন (২৫)।

মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও