“কুলাউড়ায় ডা. শফিকুর রহমানের ঈদ পুনর্মিলনীতে : আলেমদের নেতৃত্বে সুস্থ সমাজ গঠনের আহ্বান”

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় ঈদের আনন্দে মেতেছিল সর্বস্তরের মানুষ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে এই উৎসব হয়ে উঠেছিল আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক চিন্তার মেলবন্ধন। শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় কুলাউড়া পৌরসভা হলরুমে উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন।  

ছবি মুক্তিবাণী

ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে আলেম-উলামাদের সমাজ নেতৃত্বের কেন্দ্রীয় ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “যারা মেহরাবে দাঁড়িয়ে নামাজের ইমামতি করেন, তারাই সমাজকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করতে পারেন। ধর্মীয় ও নৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া কোনো সমাজের স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়।”* তিনি আরও যোগ করেন, *”আলেমদের হাতে যদি দেশের নেতৃত্ব আসে, তবে বাংলাদেশ একটি কল্যাণময় রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”

ছবি মুক্তিবাণী

সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর স্মৃতিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে ডা. শফিক বলেন, “নিজামী সাহেবের নেতৃত্বে শিল্পখাতে বিপ্লব এসেছিল। তিনি ৩৭টি বন্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করেছিলেন। আজ যদি দেশের ৪১টি মন্ত্রণালয় যোগ্য আলেমদের হাতে আসে, তবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও নৈতিক উভয় দিক থেকেই এগিয়ে যাবে।”

ছবি মুক্তিবাণী

তিনি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, “ফ্যাসিবাদ এখনও বাংলাদেশে টিকে আছে, কিন্তু আমরা তা মেনে নেব না। আগামী নির্বাচনে কেউ ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে তার হাত ‘অবশ’ করে দেওয়া হবে।” তিনি একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অতীতে অনেকে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়ে শ্মশান তৈরি করেছে। এবার আমাদের সতর্ক হতে হবে।”

ছবি মুক্তিবাণী

অনুষ্ঠানের শেষে ডা. শফিকুর রহমান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং কুলাউড়ার উন্নয়ন নিয়ে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। উপজেলা জামায়াত নেতা আব্দুল মুন্তাজিমের সঞ্চালনায় এই আয়োজনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও তরুণ নেতারা অংশ নেন।

ছবি মুক্তিবাণী

এই ঈদ পুনর্মিলনী কেবল একটি আনন্দের অনুষ্ঠানই ছিল না, বরং এটি হয়ে উঠেছিল ইসলামী মূল্যবোধ ও সুশাসনের ভিত্তিতে একটি সমাজ গঠনের ডাক। ডা. শফিকুর রহমানের ভাষণে ধর্ম, রাজনীতি ও সমাজ উন্নয়নের সমন্বিত রূপরেখা ফুটে উঠেছে, যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি বিকল্প দর্শন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

ছবি মুক্তিবাণী

সর্বশেষ আপডেট: ৮ জুন ২০২৫, ০১:০১
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও