“শহীদদের রক্তের মর্যাদা রক্ষায় সুষ্ঠু নির্বাচন চান জামায়াত আমীর, বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে বললেন, ‘প্রতিহিংসা নয়, ন্যায়বিচার চাই’”
মৌলভীবাজার, ৮ জুন: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন,”সৎ নেতৃত্ব পেলে মাত্র পাঁচ বছরে দেশ বদলে যাবে। দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট ব্যবস্থাকে চিহ্নিত করে আঘাত করলেই সমাজ তছনছ হয়ে যাবে।” রবিবার কুলাউড়া পৌরসভার মিলনায়তনে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি তুলে ধরে বলেন, “দেশের মানবসম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদই বাংলাদেশকে বদলানোর জন্য যথেষ্ট, শুধু প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা ও দায়বদ্ধ নেতৃত্বের।”
ডা. শফিকুর রহমান আগামী নির্বাচন নিয়ে বলেন,”শহীদদের রক্তের অমর্যাদা হয় এমন নির্বাচন আমরা চাই না। বিদেশি হস্তক্ষেপমুক্ত, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই আমাদের প্রত্যাশা।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা যুদ্ধাপরাধের মামলা দিয়েছিল, তারা আজ ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নেব না—শুধু ন্যায়বিচার চাই।”
তিনি শিক্ষাব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “আজ শিক্ষার্থীদের শেখানো হয় কীভাবে বড়লোক হওয়া যায়, কিন্তু জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা শেখানো হয় না। সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ইটে জনগণের টাকা লাগে, কিন্তু এই শিক্ষা দেওয়া হয় না যে, ‘তোমার মেধা সমাজের ঋণ’।” তাঁর মতে, নৈতিক শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করলে দুর্নীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমবে।
কুলাউড়ার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু এখানকার মানুষ সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এই ঋণ আমি শোধ করতে পারব না।” তিনি জোর দিয়ে বলেন,”প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশকে অসুরের সমাজে পরিণত করবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে অপরাধীর শাস্তি হবে, কিন্তু বিদ্বেষ নয়।”
সভায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমীর মো. ফখরুল ইসলামসহ স্থানীয় পেশাজীবী ও ছাত্রনেতারা বক্তব্য রাখেন।
“দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ও নৈতিক শিক্ষার বিপ্লব ছাড়া দেশ বদলানো যাবে না”—ডা. শফিকুর রহমানের এই বার্তা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে।
পাঠকের মন্তব্য