ক্লাব ক্যারিয়ারে সময়টা বড্ড কঠিন যাচ্ছে লিওনেল মেসির। আর্জেন্টাইন মহাতারকার সঙ্গে এই মৌসুমের পরই চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে পিএসজির। চলমান মৌসুম যতই সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে, ততই মেসির প্যারিসে থাকার সম্ভাবনা কমেই চলছে। তাই তো দুই পক্ষের মাঝে বেশ কিছুদিন ধরেই বয়ে যাচ্ছিল শীতল সম্পর্ক। এসবের মাঝে সম্পর্কে নতুন জটিলতা দেখা দেয় চলমান সপ্তাহেই।
অনুমতি না নিয়ে সউদী আরব যাওয়ার অভিযোগ আসে ৭ বারের ব্যালন ডি-অর জয়ী এই ফুটবলারের বিরুদ্ধে। তারই পরিক্রমায় মেসিকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে পিএসজি।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গত রোববার লিগে লরিয়েন্তের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের খেলোয়াড়দের বলেছিলেন, ম্যাচটা জিতলে দুই দিন ছুটি পাবেন খেলোয়াড়েরা। কিন্তু পিএসজি ম্যাচটা ৩-১ গোলে হেরে যায়। মেসি অবশ্য আগেই পিএসজির কাছে সাউদীতে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। যেহেতু তিনি সউদী পর্যটন সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তাই পিএসজিও নাকি ছুটির আবেদন মঞ্জুর করে। তবে শর্ত ছিল একটা- ম্যাচ জিততেই হবে। পিএসজির ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোস ও কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের নাকি মেসিকে বলেছেন, ম্যাচ জিতলে বা ড্র করলে যেতে পারবে, হারলে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না।
তবে দল লরিয়েন্তের কাছে হারার পর মেসি আর ক্লাবের অনুমতি চাননি। তিনি চলে গিয়েছিলেন সউদী আরবে। এতে ড্রেসিংরুমের অনেকে ফুটবলারই বিরক্ত হয়েছেন বলে জানাচ্ছে ফ্রান্স ও বিশ্ব গণমাধ্যম। মেসিকে ঘিরে এই জটিলতার মধ্যে পিএসজি টুইটারে এক সপ্তাহের পরিকল্পনা জানায়। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত সোমবার অনুশীলন ছিল, পরশুদিন ছিল ছুটি। গতকাল থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত আবার অনুশীলন, এরপর রোববার ত্রয়ার বিপক্ষে ম্যাচ।
এদিকে মেসির এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে বেশ কিছু জিনিস। মেসি দুই সপ্তাহ ক্লাবের হয়ে খেলতে পারবেন না। এমনকি অনুশীলনও করতে পারবেন না। তাছাড়া এই সময়টার জন্য ক্লাব কতৃপক্ষ থেকে তিনি কোন প্রকার বেতন পাবেন না। আর সর্বশেষ শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে পিএসজি। এই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ায় সামনের দুটি ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে মাঠের বাহিরে থাকতে হবে মেি কে। শাস্তির প্রকট এতটাই বেশি যে আর্জেন্টাইন জাদুকরকে দলের সঙ্গে অনুশীলনের অনুমতিও দেয়নি পিএসজি।
পাঠকের মন্তব্য