জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪

লু’র চিঠিতে কী বার্তা?

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্স :

ডলার সংকটে অর্থনৈতিকভাবে খাদের কিনারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে চলছে কার্যত স্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। একদিকে জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ অর্ধ শতাধিক দল ধারাবাহিকভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। 

সিপিবি-জাসদ-বাসদ-বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টসহ বাম দলগুলো নির্দলীয় সরকারের দাবিতে পৃথকভাবে আন্দোলন করছে। বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখেই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত। এ অবস্থায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন; বিচ্ছিন্ন হয়েছে দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশি-বিদেশি চাপ উপেক্ষা করে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ২০১৪ সালের ন্যায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথে হাটছে। আর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের ‘নাচের পুতুল’ এর মতো নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইসি যে কোনো সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে এমন আভাস দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই রাজপথে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং রক্তাক্ত অবস্থার সৃষ্টি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় সংকট সুরাহায় এগিয়ে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তিনি গতকাল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন। সে চিঠি ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রাপক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। চিঠিতে কী লেখা রয়েছে জানা যায়নি; তবে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ডোনাল্ড লু আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতাদের নিঃশর্ত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র চর্চা, অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে উঠা, খুন-গুম বন্ধ, মানবাধিকার রক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রায় দুই বছর ধরে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‌্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে চলতি বছরের ২৪ মে ভিসানীতি ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন। পরবর্তীতে ২৩ সেপ্টেম্বর ভিসানীতি কার্যকর করা হয়। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে ঢাকা সফর করে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের পরামর্শ দেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন একইভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানায়। ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারের মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে সংলাপের মাধ্যমে সংকট সুরাহার পরামর্শ দেন। কিন্তু বিরোধী দল সরকারের পদত্যাগ ছাড়া সংলাপে যাবে না সিদ্ধান্তে অটল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল এবং দলের নেতারা জানোয়ার’ মন্তব্য করে ‘ওই জানোয়ারদের সঙ্গে কিসের সংলাপ’ জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে সংবিধানের দোহাই দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অবস্থানে অটল থাকেন। এতে করে একদিকে বিরোধী দলগুলোর অবরোধে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির অবস্থা নাজুক। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের লাঠি-লগি-বৈঠা-আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রহরা-টহল বাড়িয়ে আন্দোলন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের চাপ উপেক্ষা করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে রেখেছে।

রাজনৈতিক এই অস্থিরতা এবং অবরোধের মধ্যে ক্ষমতাসীনদের নাচের পুতুল নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেই রক্তারক্তি ঘটনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এমন আশঙ্কা সবার। রক্তারক্তি ঠেকাতেই যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু চিঠি দিয়ে তিন দলকে ত্রিদলীয় সংলাপের আহ্বান জানালেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গতকাল সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে এ চিঠি পৌঁছে দেন। জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পিটার হাস ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন জিএম কাদেরের সঙ্গে। বৈঠকে জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাশরুর মওলা উপস্থিত ছিলেন। অতঃপর সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, ডোনাল্ড লু আওয়ামী লীগ, বিএনপিকেও চিঠি দিয়েছেন। বৈঠকে কী কথা হয়েছেÑ জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, আমরা কী চাই সেটা যুক্তরাষ্ট্রকে বলিনি। যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি, নির্বাচন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের চাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনকে জানাব। তবে বাংলাদেশ অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। জাপা চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাশরুর মাওলা বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বৈঠকে বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি আমাদের বিশেষ কোনো অবস্থান নেই। সব দল আমাদের কাছে সমান। তিনি রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দ্রুত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপাকে সংলাপে বসার তাগিদ দেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন, সংলাপই রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ। এ ব্যাপারে জাপার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমরাও সংলাপের পক্ষে সহমত। জাপা বিশ্বাস করে, সংলাপ সব সংকট দূর করতে পারে। তা ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আমরা বলেছি, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরেকটু সময় লাগবে।

জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দেয়া ডোনাল্ড লু’র লেখা চিঠিতে মূলত তিনটি বিষয়ে বলা হয়েছে। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন দেখতে চায়। দ্বিতীয়ত, শর্তহীনভাবে তিন দলের সংলাপের কথা বলা হয়েছে। তৃতীয়ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি গ্রহণ করেছে, চিঠিতে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার হাতে তুলে দেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে থাকায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে চিঠি পৌঁছে দেন।

এদিকে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ইস্যুতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে (রাজনৈতিক দলগুলোকে) সহিংসতা পরিহার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে। বিবৃতিতে সংলাপ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ঘোষণা করা ভিসানীতির বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কার্যকর থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র বিগত কয়েক বছর বাংলাদেশকে দিল্লির চোখে দেখলেও এখন নিজের চোখে দেখছে। সে কারণে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ৩ মে ভিসানীতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এ তথ্য গোপন করায় ২৪ মে এই নীতি জনসম্মুখে তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। অতঃপর ২৩ সেপ্টেম্বর ভিসানীতি কার্যকর করা হয়। এর আগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। জনগণ ভোটের অধিকার হারানোয় বিগত দুই বছর যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত দু’টি আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মানবাধিকার, গণতন্ত্র রক্ষা এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন সরকারের গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা যে ভাবে পর্যায়ক্রমে ঢাকা সফর করেছেন বাংলদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছরেও তেমন দেখা যায়নি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তিনি বাংলাদেশ সফরের সময় সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দেন। জানুয়ারি মাসেই চার দিনের সফরে ঢাকায় আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ উপদেষ্টা রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লউবেখার। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ঢাকা সফর করেন। তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচন তথা অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, শ্রম সমস্যা, মানবাধিকার, এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। অতঃপর গত ১৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার ঢাকা সফর করেন। তিনিও নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ইস্যুতে আলোচনা করেন। এ ছাড়াও আরো কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা ঢাকা সফর করে নির্বাচন ইস্যুতে কথাবার্তা বলেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে জো বাইডেন প্রশাসনের কড়া অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। আবার ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত এক বছরে কয়েক দফা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সুশীল সমাজ, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বৈঠক করেছেন। পরবর্তীতে পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।

ওদিকে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার প্রতি সাপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যু নিয়ে জো বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান তুলে ধরছেন। তিনি যে সব কথা বলছেন তার মমার্থ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র গোটা বিশ্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের উন্নয়নের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সর্বশেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০০
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও