জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪

দু-এক দিনের মধ্যেই ‘তফসিল’ ঘোষণা নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে : প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্স :

আগামী নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে এমন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন(ইসি) নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তফসিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে। গতকাল মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামে নামকরণ করা শেখ হাসিনা স্বরনী (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনা ও ঘরের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৯ হাজার ৯৯৫টি অবকাঠামো নির্মাণ সমাপ্ত কাজের উদ্বোধন এবং ৪৬টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সারা দেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৬৪৪ টি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩৯৭টি গৃহ নির্মাণ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া আওয়ামী লীগ কোনো দিন সরকার গঠন করেনি। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই সবকিছুর সংস্কার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। দীর্ঘসময় সরকারে থাকার কারণেই আমরা যেভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছিলাম সেভাবে করতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে দেখে এখন আর কেউ বলতে পারবে না এ দেশ দরিদ্র দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, হাত পেতে চলার দেশ। আমরা এখন একটা মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এসময় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায়না। কারণ, যারা ৩০টি সিট পেয়েছিল (২০০৮ সালে) স্বাভাবিকভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোন আকাঙ্খাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলাই তাদের চেষ্টা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি এদেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল, উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জালাও পোঁড়াও। গাড়িতে আগুন বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে যেখানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ সেখান থেকে বর্তমানে আমরা সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি। আজকে সমস্ত ছেলে-মেয়ে, প্রায় ৯৮ ভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। সেসব কিছু আজকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি এটুকু বলবো যে ওদের সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ তারা বন্ধ করুক। অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক। অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহবান জানিয়ে এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীকেও বলবো যে এই অগ্নিসন্ত্রাস আপনাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সকলেরই জানমাল আছে। ২০১৩, ১৪ ও পরবর্তী সময়ে যে অগ্নিসন্ত্রাস, ভূক্তভোগীদের যন্ত্রণা ও কষ্ট আমরা দেখেছি। কাজেই এই ভোগান্তি যেন মানুষের আর না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আইনকরে নির্বাচন কমিশন গঠন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন তথা নির্বাচন ব্যবস্থার যাবতীয় সংস্কার আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই করা হয়েছে। কারণ, রাতের অন্ধকারে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আজ দেশের যে প্রভূত উন্নয়ন তা দীর্ঘসময় একটানা ক্ষমতায় থাকতে পারার জন্যই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে সক্ষমতা ১৬শ মেগাওয়াট ছিল তা বর্তমানে ২৮ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে উন্নীত হয়েছে। প্রতি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বেলেছে সরকার। অথচ তাঁর সরকার ৯৬ সালে পাওয়া ১৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকে উৎপাদন বাড়িয়ে ক্ষমতা ছাড়ার সময় ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াটে রেখে যায়। কিন্তু পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার এক ইউনিটও উৎপাদন না বাড়িয়ে উল্টো বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্য মন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে, সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরণী নামকরণ করা পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫টি প্রকল্প গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্পন্ন হয়েছে এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা ১৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে চারটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন। চারটি প্রকল্পের মধ্যে একটির অধীনে কর্তৃপক্ষ সারা দেশে ২০২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ভবন নির্মাণ করেছে এবং তিনি সারা দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১,২৫৯টি ভবনও উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত চারটি ডে-কেয়ার সেন্টার ও উদ্বোধন করেন।

তিনি মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে দ’ুটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছেন, যেগুলো প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে। সারা দেশে মোট ১০১টি কেন্দ্র ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিল। অনুষ্ঠানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

ঢাকায়, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ১২.৫ কিলোমিটার পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (ঢাকার কুড়িল ফ্লাইওভার পয়েন্ট থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত) যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানে ব্যয় হয়েছে ১৪,০০০ কোটি টাকা।

এক্সপ্রেসওয়েতে কোন স্টপওভার পয়েন্ট, ট্রাফিক সিগন্যাল বা অন্য কোন বাধা নেই। তাই যানবাহনগুলো তার পুরো দৈর্ঘ্য ছয় বা সাত মিনিটের মধ্যে চলতে পারে। এতে রাজধানী, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরনির দুই পাশে ১শ’ ফুট চওড়া ও ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খালের উদ্বোধন করেন। ৬.২০ কিলোমিটার দীর্ঘ আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ে, চার লেনের সার্ভিস রোড, নারায়ণগঞ্জের বালু নদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে এবং চার লেনের সার্ভিস রোডের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১৮৪.৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় শেখ হাসিনা সরনির ওপর পাঁচটি ইন্টারসেকশন নির্মাণ, ১২টি সেতু, ছয়টি আন্ডারপাস, খালের ওপর আরো ১৩টি সেতু, ৩৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার হাঁটা পথ, ১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর, দ’ুটি সøুইস গেট এবং ১১টি সাব স্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি ১১৭০টি সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রামে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) একটি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে।

সিডিএ প্রকল্পগুলো হলো-১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফৌজদারহাট-বায়োজিদ লিংক রোড, বাকালিয়া এক্সপ্রেস রোড। সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, জানে আলম দোভাষ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে সিডিএ প্রকল্পগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সিপিএ নিজস্ব অর্থায়নে ১২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজ উদ্যোগে নিজ এলাকায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৫১টি ঘর নির্মাণ করেছেন।

এদিকে স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন তিনি। এ উপলক্ষ্যে নগর ভবনের অডিটরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিটি করপোরেশন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইসহ জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলে নাসিকের কাউন্সিলর, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধি ও নগরবাসী।

সিটি করপোরেশনের যে ১০টি প্রকল্প উদ্বোধন হলো- নগর ভবন, শেখ রাসেল পার্ক, পাইকপাড়া মিউচুয়াল ক্লাব, বাবুরাইল খাল, সিদ্ধিরগঞ্জ খাল, পাক পাঞ্জাতন সিটি জামে মসজিদ, আলী আহাম্মদ চুনকা সিটি পাঠাগার ও মিলনায়তন, কলরব কিন্ডারগার্টেন স্কুল, সিটি ওয়েলফেয়ার মাঠ ও শিশু পার্ক এবং সোনাকান্দা খেলার মাঠ। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণার পর নগর ভবনের অভ্যন্তরে নাসিক মেয়র ও নারায়ণগঞ্জের ৪ এমপি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শান্তির পায়রা কবুতর উড়িয়ে প্রকল্পগুলোর নাম ফলক উম্মোচন করে।

সর্বশেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩৮
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও