“মাগুরছড়ার রক্তঝরা রাত, আজও চোখে জল বাঙ্গালীর…”
১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মধ্যরাত। মাগুরছড়া গ্যাস কূপে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পুরো অঞ্চল। প্রাণ হারিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ, লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল জনজীবন, আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। সেই মাগুরছড়া ট্র্যাজেডিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকা (১.৪ বিলিয়ন পাউন্ড) । কিন্তু আজও, ২৮ বছর পার হলেও, সেই ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি ক্ষতিগ্রস্তরা। বরং, সময়ের ব্যবধানে এই দাবি যেন হারিয়ে গেছে রাষ্ট্রীয় আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে আজ বাঙ্গালীর আকুল আবেদন—আন্তর্জাতিক ফোরামে সোচ্চার হয়ে মাগুরছড়ার ক্ষতিপূরণ আদায়ের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিন। তাঁর বিশ্বব্যাপী সুপরিচিতি ও আইনি প্রজ্ঞা এই দাবিকে নতুন গতি দিতে পারে। আমরা চাই, মাগুরছড়ার ট্র্যাজেডি শুধু স্মৃতির মিনার না হয়ে উঠুক ন্যায়বিচারের প্রতীক।
আগামী ১৪ জুন, মাগুরছড়া ট্র্যাজেডি দিবস:
এই দিনটি শোকের, কিন্তু সংগ্রামেরও। আসুন, আমরা সবাই এক কণ্ঠে দাবি তুলি—”ক্ষতিপূরণ চাই, ন্যায়বিচার চাই!” মাগুরছড়ার ত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যায় না। রাষ্ট্রকে তার দায় স্বীকার করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা ফেরত দিতেই হবে।
“মাগুরছড়া শুধু একটি বিস্ফোরণের নাম নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। যে ট্র্যাজেডি রাতারাতি গ্রাস করেছিল হাজারো পরিবারের ভবিষ্যৎ, তার জবাবদিহিতা আজও বাকি। আমরা ভুলিনি, ভুলবও না। ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই থামবে না—এটাই মাগুরছড়ার ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার!”
পাঠকের মন্তব্য