কমলগঞ্জে ১০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার: থানা পুলিশের সফল অভিযান

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
বিশেষ প্রতিনিধিঃ

“বটগাছ লাইনে গোপন অভিযান: ১০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক, থানার জিরো টলারেন্স নীতি জোরদার” 

ছবি মুক্তিবাণী

২৪ জুন কমলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানে ১০ কেজি গাঁজাসহ রাজেশ নেপালী (৩৫) নামক এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টায় শমশেরনগর ইউনিয়নের সুনছড়া চা বাগান (ডবলছড়া) এর বটগাছ লাইন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির এবং এসআই আমির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন টিম ।

অভিযানের মূল ঘটনাবলী: স্থানীয় তথ্যের ভিত্তিতে: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাজেশ নেপালীর বাড়িতে অভিযান চালায়। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

• গাঁজা উদ্ধার: তার বসতঘরে স্কচটেপে মোড়ানো ১০টি প্যাকেটে মোট ১০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয় ।

• অভিযুক্তের পরিচয়: রাজেশ নেপালী, পিতা লাল বাহাদুর নেপালী। তার বাড়ি ডবলছড়া চা বাগানের বটগাছ লাইন এলাকায়।

পুলিশের বক্তব্য: ওসি আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির স্পষ্ট জানান,”মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অধীনে আমরা কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছি। রাজেশ নেপালীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে”।

প্রেক্ষাপট: মৌলভীবাজারে মাদকবিরোধী অভিযান গত কয়েক মাসে তীব্র হয়েছে। জানুয়ারি ২০২৫-এ জেলার ৭ থানায় ৫০ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়, যার মধ্যে কমলগঞ্জ থানার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য । এছাড়া, গত সপ্তাহে এই থানাই ৫২,০০০ শলাকা বিদেশি সিগারেট জব্দ করে, যা মাদক ও চোরাচালানী পণ্য বিরোধী তাদের সক্রিয়তাকে তুলে ধরে ।

সামগ্রিক তাৎপর্য: পুলিশের এই সাফল্য শুধু স্থানীয় স্তরে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে লড়াইকেই জোরদার করেনি, বরং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় এর গুরুত্বও প্রমাণ করেছে। কমলগঞ্জ থানার সাম্প্রতিক অভিযানগুলো মাদক চক্রের বিরুদ্ধে কৌশলগত নজরদারি ও দ্রুত পদক্ষেপের দক্ষতার প্রতীক ।

মূল উদ্ধৃতি: “গোপন তথ্য ও জনসহযোগিতা আমাদের সফলতার চাবিকাঠি। মাদকের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আমরা প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি চা-বাগানকে নিরাপদ রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” ওসি আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির, কমলগঞ্জ থানা ।

সামনের পদক্ষেপ: গ্রেফতারকৃত রাজেশ নেপালীর বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা দায়ের করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে, মৌলভীবাজারে মাদক নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে  জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সহ অন্যান্য ইউনিটের সমন্বিত অভিযানও চলমান থাকবে ।

নোট: এই সংবাদটি স্থানীয় বাসিন্দাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে কীভাবে সম্প্রদায়কে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করা যায়, তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সামগ্রিক জননিরাপত্তা জোরদারে কমলগঞ্জ থানার এই অভিযান প্রশংসনীয়।

মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও