হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ফেসবুকে লেখালেখিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ফারুক তালুকদারের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আনমুন ও তিমিরপুর গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায় ফেসবুকে সাংবাদিকদের পোস্ট ঘিরে। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আশায়েদ আলীকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে দুই গ্রামের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর জের ধরে সোমবার দুপুর থেকে দুই গ্রামের শতাধিক মানুষ লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হন। দোকানপাট ভাঙচুর হয়। পুরো উপজেলা সদরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গুরুতর আহত ফারুক তালুকদারকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুক তিমিরপুর গ্রামের আওয়াল তালুকদারের ছেলে। তিনি পেশায় অ্যাম্বুলেন্সচালক ছিলেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে না পারে, সে জন্য পুরো নবীগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
পাঠকের মন্তব্য