“খলিফা উমর (রা.)-এর মর্যাদাহানীর অভিযোগে নারী আটক, সম্প্রদায়িক উত্তেজনা”

ছবি সংগ্রহ
ছবি সংগ্রহ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও খলিফা হযরত উমর (রা.)-এর বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে উমাইরা ইসলাম (৩৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উমায়রা সদর উপজেলার আগিউন গ্রামের মৃত-গৌউছুল ইসলাম ওরফে কুটি মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে ক্লাব রোড মুসলিম কোয়ার্টার ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করেন।

ছবি সংগ্রহ

শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় শহরের ক্লাব রোড এলাকার তার ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়, যা নিয়ে ইতোমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, “আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” উমাইরা দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্টের মাধ্যমে সাহাবীদের অবমাননার অভিযোগে সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।

প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপট ও আইনি প্রতিক্রিয়া: অনুরূপ ঘটনার নজির:  গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে একই ধরণের অভিযোগে চুয়েটের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার , পিরোজপুর ও রাঙ্গামাটিতে দুই যুবকের গ্রেফতার , এবং বেগম বদরুন্নেছা কলেজের এক শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড  নিশ্চিত করা হয়েছে।

• খলিফা উমর (রা.)-এর ঐতিহাসিক মর্যাদা: হযরত উমর (রা.) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে পরিচিত তার ন্যায়পরায়ণতা, কঠোর নীতি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য। তিনি নিজ পুত্রকেও শাস্তি দিয়েছিলেন, গরিবদের জন্য রাতে খাদ্য বিতরণ করতেন এবং অমুসলিম অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।

আইনি পরিণতি: বাংলাদেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকে  ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও ফৌজদারি আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড ।

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া ও তাৎপর্য: মৌলভীবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা উমাইরার “দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি” দাবি করেছেন। এই ঘটনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, বিশেষত যখন দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রয়েছে । পুলিশ তদন্তে উমাইরার ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট ও ইতিহাস পরীক্ষা করছে বলে জানা গেছে।

উপসংহার: ধর্মীয় নেতাদের অবমাননার ঘটনায় বাংলাদেশে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও সামাজিক অসহিষ্ণুতা পাশাপাশি চলছে। এই ঘটনা রাষ্ট্রীয় নজরদারির পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষার প্রসারেরও তাগিদ দেয়।

মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও