“অবসরপ্রাপ্ত সেনার হঠাৎ ‘সোনার হরিণ’! আলাদীনের চেরাগ নাকি অবৈধ সম্পদের পাহাড়?”

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

অবসরপ্রাপ্ত সেনা দেলোয়ার হোসেনের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের রহস্যময় অভিযোগে উত্তাল গাইবান্ধার বোয়ালী ইউনিয়ন। ১৯৯৯ সালে মাত্র ২৭ লাখ টাকা পেনশন নিয়ে জীবন শুরু করা এই সাবেক সৈনিক হঠাৎ করেই গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদের সাম্রাজ্য! প্রশ্ন উঠেছে: “তিনি কি পেয়েছেন আলাউদ্দিনের আশ্চর্য চেরাগ, নাকি রাষ্ট্রবিরোধী কোনো অন্ধকার পথে জমিয়েছেন এই বিপুল সম্পদ?

ছবি মুক্তিবাণী

কীভাবে বদলে গেল ভাগ্য? • ১৯৯৯: অবসরের পর ২৭ লাখ টাকায় ফলিয়ার পাথারে কিনলেন আবাদি জমি। মেয়ের বিয়ে ও বাড়ি তৈরিতে কিছু জমি বিক্রি।

• ২০১৯-২০২৩: হঠাৎ “আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ”! রংপুর-গাইবান্ধায় ঝড় তুললেন জমি ও ফ্ল্যাট কেনার মহাযজ্ঞে:

ডিসেম্বর ২০১৯: রংপুর সিটিতে ৬.৩১ শতাংশ জমি (মূল্য: ১ কোটি টাকা, দলিল নং ১৯৯১৩)।

অক্টোবর ২০২২: গাইবান্ধা পৌরসভায় ৪ শতাংশ জমি (মূল্য: ৫০ লাখ, দলিল নং ৯৭৫৫)।

সেপ্টেম্বর ২০২৩: রংপুর লালকুঠিতে ফ্ল্যাটসহ ০.৫২ শতাংশ জমি (মূল্য: ৯০ লাখ, দলিল নং ২০২৪৬)।

শাহী জীবনযাপন! • ব্রহ্মপুত্রে ভেসে যাওয়া ভিটেমাটি ছেড়ে উত্তর ফলিয়ায় কিনেছিলেন টিনের ঘর। এখন সেখানে দাঁড়িয়ে “রাজকীয় প্রাসাদ”! 

• শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী নাজমিন নাহার মিনির নামে আরো ৭-৮ বিঘা জমি।

• দামি স্যুট, ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, বুট—চেনা যায় না আগের দেলোয়ারকে!

গণমনের জ্বালাপোড়া প্রশ্ন: “একজন পেনশনভোগী সেনা এত কোটি টাকার মালিক হন কীভাবে?”

“অবৈধ ইনকামের উৎস কি রাষ্ট্রবিরোধী কারসাজি?”

 ⚖️ সুধী মহলের দাবি: “দেলোয়ারের আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্য ভয়ানক সন্দেহজনক! ACC বা কর ফাঁকি ইউনিটের তদন্তে অবৈধ সম্পদের উৎস বের করে তাঁকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই হবে।”

দেলোয়ারের জবাব: তদন্তকারীদের সামনে মাত্র ২৫ লাখ টাকার একটি দলিল দেখাতে পেরেছেন তিনি। কোটি টাকার বাকি সম্পদের কোনো কাগজ বা যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ। 

শেষ লাইন: গাইবান্ধার মাটিতে জমে উঠা এই সম্পদের পাহাড় কি “আলাদীনের চেরাগের” জাদু, নাকি দুর্নীতির কালো ছায়া? তদন্ত চায় স্থানীয় মানুষ!

মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও