জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪

শীতের আমেজ অনুভূত হলেও কমলগঞ্জে জমেনি পোশাক বেচাকেনা

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ॥

শীতের আমেজ অনুভূত হলেও জমে ওঠেনি পোশাক বেচাকেনা। সকাল-সন্ধ্যা হিমেল হাওয়া গায়ে লাগলেও ক্রেতারা তেমনটা পোশাক কিনছেন না বলে দাবি কাপড়ের ব্যবসায়ীদের।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় ভানুগাছ ও শমশেরনগর ও পতনঊষার বাজারের দোকানগুলোতে শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন কাপড়ের ব্যবসায়ীরা। তবে বেচাকেনা তেমনটা হচ্ছে না। বিক্রি জমজমাট হবার প্রত্যাশায় আছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীত শুরুতে গরম কাপড় কেনার প্রবণতা এবার কম। তাই চাহিদা নেই বললেই চলে। ঘুরতে এসেও কেউ কেউ কিনছেন ছোটদের কাপড়। সাধারণত শীতের কাপড় বিক্রির বাজার জমে ওঠে অক্টোবরের শেষে ও নভেম্বর মাসে। তবে এবার এখনও ব্যবসা জমেনি।খুচরা বিক্রেতারা জানান, শীত বাড়েনি বলে, গরম কাপড়ের বিক্রি বাড়েনি। এছাড়া শীতের কাপড় ছাড়াও স্বাভাবিক বিক্রি কম হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক কর্মসূচি হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে।

কেন বিক্রি কম জানতে চাইলে উপজেলার পতনঊষার বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম বলেন, শীতের সিজনে প্রতিদিন বিক্রি করতাম ১৫-২০ হাজার টাকা। সারাদিনে এখন বিক্রি হয় ১-২ হাজার টাকা। আবার সব দিন এ রকম বিক্রিও হয় না। হরতাল-অবরোধের কারণে বেচাকেনা অনেক কম। দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দেওয়া মুসকিল হয়ে পড়েছে।

ভানুগাছ বাজার মা মনি বস্ত্রালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মো. সোলাইমান বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বেচাকেনা কম হচ্ছে। দূর দূরান্ত থেকে এই এলাকায় মানুষ ঘুরতে এলে এসব পোশাক কিনে নেন। কিন্তু হরতাল- অবরোধ কারণে মানুষ তেমন আসছে না। এ কারণে আমাদের বিক্রিও বাড়ছে না। গ্রামগঞ্জের মানুষ কতই আর কেনাকাটা করবে। আমাদের পণ্য বিক্রির বেশির ভাগ ক্রেতা দূর দূরান্তের মানুষরাই।

তিনি বলেন, স্থানীয় ভাবে যেসব ক্রেতারা আসছে তারা ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য কিছু কাপড় ক্রয় করে চলে যাচ্ছেন। কেউ আবার দামাদামিতেই সীমাবদ্ধ।তারা প্রত্যাশা করছেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ব্যবসা বাড়বে।

রাস্তার পাশে ফুটপাতের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের গরম কাপড়ের ব্যবসা মূলত হয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। তখন ভালো বেচা বিক্রি হবে। সেই আশায় আছি।

সর্বশেষ আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৬
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও