মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে চাঞ্চল্যকর সাফল্য পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে দুটি পৃথক অভিযানে ৮০টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি গাঁজা এবং ৩৫,০০০ শলাকা নিষিদ্ধ ভারতীয় ‘নাসির’ বিড়ি** জব্দ করে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
১. শ্রীমঙ্গল অভিযান: • এসআই এ.এইচ.এম মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে ডিবি টিম পাচাউন গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লেদন মিয়া ওরফে আব্দুর রহমান (৫২) -কে আটক করে।
• তার কাছ থেকে ৮০টি ইয়াবা ও ১.৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
• চাঞ্চল্যকর তথ্য: সিডিএমএস ডাটাবেজ যাচাইয়ে প্রমাণিত, তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ২টি মাদক মামলা বিচারাধীন!
২. সদর উপজেলা অভিযান:
• এসআই আবু নাইয়ুম মিয়ার নেতৃত্বে শিমুলতলা বাজারের “বিসমিল্লাহ ভেরাইটিজ” দোকানে অভিযান চালানো হয়।
• দোকানের বিশ্রাম কক্ষে চটের বস্তা থেকে ৩৫,০০০ শলাকা ভারতীয় নাসির বিড়ি ও ৫০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।
• দোকানের মালিক সৈয়দ আব্দুল গালিব (৪০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়।
⚖️ আইনি পদক্ষেপ: জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য নিশ্চিত করেছেন:
• আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।
• উদ্ধারকৃত বিড়ি চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়েছিল।
• সতর্কবার্তা:“মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান আরও তীব্র হবে!”
পটভূমি: আটককৃতদের মধ্যে আব্দুর রহমান একজন অভিজাত মাদক কারবারি হিসাবে চিহ্নিত। অন্যদিকে, গালিবের দোকানকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান চক্র এর সাথে জড়িত থাকার সন্দেহ ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে।
শেষ কথাঃ মৌলভীবাজারের প্রত্যন্ত এলাকায় ডিবির এই অভিযান প্রমাণ করছে, মাদক ও চোরাচালান বিরোধী যুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নতুন কৌশল ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করছে। সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে গোপন তথ্য পেয়েই সম্ভব হয়েছে এই সফলতা!
পাঠকের মন্তব্য