আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কারও অভিযান চালানোর কোনো ধরনের এখতিয়ার নেই। ট্যুরিস্ট পুলিশ অ্যাক্টিভ হলে বিদেশি ট্যুরিস্ট আমাদের দেশে আসবে এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন শেষে এমন মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মব জাস্টিস কমছে না। বাসা-বাড়িতে ঢুকে মব জাস্টিসসহ বিদেশিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি দ্বিমত করব না হচ্ছে। তবে যেখানে হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। পুলিশের ওপরেও হামলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণ এমন উচ্ছৃঙ্খল হয়ে গেলে অনেক সময় কিন্তু সমস্যা হয়। বাহিনী দিয়ে তো সবসময় কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করা যায় না। যে জায়গায় মব জাস্টিস হচ্ছে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা (মব জাস্টিস) না ঘটে সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর আছে। এক্ষেত্রে আপনাদেরও (সাংবাদিক) একটা বড় ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে করে মব জাস্টিসের মতো ঘটনা না ঘটে।

বাসা-বাড়িতে হুট করে অভিযানের নামে লুটপাটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো অভিযান চালানোর কারও এখতিয়ার নেই।

হাইওয়েতে ডাকাতির রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে রাজশাহী জোনেই ডাকাতির সংখ্যাটা একটু বেশি। টাঙ্গাইলেও বেশি হয়। তবে ডাকাতি যেন না হয় সেজন্য ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। তারা আগের চেয়ে অনেক তৎপর হচ্ছে। ঈদে চাঁদাবাজি যেন না হয় এবং ছিনতাই যেন না হয় এজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ছিনতাইবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের জনবলের অনেক ঘাটতি রয়েছে। তাদের নিজেদের কোনো থানার জায়গা নেই। ভাড়া ভবনে থাকে। পাশাপাশি যানবাহনেরও অনেক সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যেই ট্যুরিস্ট পুলিশ ভালো কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের দেশে ট্যুরিস্ট পুলিশ অ্যাক্টিভ (সক্রিয়) হলে বিদেশি ট্যুরিস্ট আমাদের দেশে আসবে এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে। ট্যুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা অনেক কম হলেও স্পট অনেক বেশি। তাই তাদের জনবল বাড়ানো দরকার।