আমি জেনে অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি যে, দুর্ভাগ্যক্রমে আপনি সপরিবারে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।
আমি প্রত্যাশা করছি যে, আপনি এবং আপনার পরিবার দ্রæত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে নিজের কর্মস্থলে ফিরবেন এবং সেই সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে করোনাভাইরাস ও এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বলিষ্ঠ ও দৃঢ় মনোবল দিয়ে মৌলভীবাজারে নেতৃত্ব দেবেন। এই অনাকাঙ্কিত দুঃসময়ে আমার সহমর্মিতা আপনার ও আপনার পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। আমি আপনার ও আপনার পরিবারের দ্রæত সুস্থতা, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যে দোয়া করছি - এই বার্তা লিখে করোনা ভাইরাসে সপরিবারে আক্রান্ত মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এর বাসভবনে ফল উপহার পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র সিলেট শাখার সদস্য সচিব, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এ.এস.কাঁকন।
বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে সম্পূর্ন সামাজিক দূরত্ব মেনে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে তিনি ফলগুলো পৌছে দেন।
৫ জুলাই সোমবার এন্টিজেন টেস্টে জেলা প্রশাসক, তাঁর স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তাননের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসে। এরপর থেকে তিনি ও তার পরিবার হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। এ অবস্থায় মনস্তান্তিক ভাবে দূর্বল না হওয়া ও মানসিকভাবে শক্ত থাকার সাহস যোগাতে সাংবাদিক কাঁকন জেলা প্রশাসককে উপহার সরুপ এই ভিন্ন জাতের ফল পাঠান। তিনি বলেন সব সময় জেলা প্রশাসক নিজ উদ্যোগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির মনে সাহস যোগাতে তাদের বাড়িতে ফল পাঠিয়ে খোজ-খবর নেন, সবাইকে সাহস যোগানো সেই মানুষটি আজ যখন স্বাস্থবিধি নিশ্চিতে মাঠে কাজ করতে গিয়ে সপরিবারে আক্রান্ত তখন তাদের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয় ও তার পরিবারের দ্রæত সুস্থতা কামনা করছি। ইনশাআল্লাহ করোনাকে জয় করে তিনি খুব দ্রæত আমাদের মধ্যে তার কর্মস্থলে ফিরবেন।
এসময় মৌলভীবাজারবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন এ মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ঘরে থাকার কোন বিকল্প নেই,আপনারা ঘরে থাকুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন,অহেতুক জনসমাগমে চলা ফেরা করবেন না, ১৪ দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকলে করোনা ভাইরাস সংক্রমন থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়।
পাঠকের মন্তব্য