স্পেশাল ট্রেন চালুসহ বৃহত্তর সিলেটবাসীর ৮ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করেছেন সাধারণ যাত্রী ও স্থানীয়রা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
![]()
এ আন্দোলনের প্রভাবে রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেন পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেট স্টেশন থেকে ছাড়লেও কুলাউড়ায় পৌঁছাতে পারেনি। অন্যদিকে, ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস শ্রীমঙ্গলে আটকা পড়েছে। যাত্রীদের মারাত্মক inconvenienceসৃষ্টি হয়েছে।
![]()
কুলাউড়া ছাড়াও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও শমশেরনগর, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং সিলেটের মাইজগাঁও স্টেশনে একই দাবিতে আন্দোলন করেছেন। কর্মসূচিতে সাধারণ যাত্রী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়ী নেতা এবং সাংবাদিকরা অংশ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
![]()
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে উত্থাপিত ৮ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১.সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে ২টি স্পেশাল ট্রেন চালু।
২.আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণ।
৩.আখাউড়া-সিলেট সেকশনে একটি লোকাল ট্রেন চালু ও সকল বন্ধ স্টেশন পুনরায় চালু।
৪.কুলাউড়া জংশন স্টেশনে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি।
৫.কালনী ও পারাবত ট্রেনের আযমপুরের পর ঢাকার দিকের সকল স্টেশনে যাত্রাবিরতি পুনর্বহাল।
৬.ট্রেনের সময়মতো চলাচল নিশ্চিতে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ও যাত্রী চাহিদা অনুপাতে অতিরিক্ত বগি সংযোজন।
![]()
এ অবস্থায়, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন, ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার মহব্বত জান চৌধুরী
ও কুলাউড়া থানার ওসি ওমর ফারুকসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিকাল ৪টায় আন্দোলনকারীরা অবরোধ আপাতত প্রত্যাহার করেছেন ।
![]()
আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের এই দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
![]()















পাঠকের মন্তব্য