এক হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়েই ভারতজুড়ে এখন তোপের মুখে দেশটির কট্টর হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা চোরের মত দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে তাকে আশ্রয় দেয় তার পরম মিত্র মোদি। এরপর থেকেই বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে থাকে ভারতীয় দাদাবাবুরা। সর্বশেষ ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের বাংলাদেশকে ঘিরে নেওয়া সিদ্ধান্তে এবার ক্ষেপেছেন ভারতীয় সাধারণ নাগরিকরাই।
সম্প্রতি স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের ৯টি পণ্য ভারতে আমদানি বন্ধ করেছে মেদি সরকার। আর এতেই এখন ক্ষিপ্ত ভারতীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থল বন্দরে কাজ করা শ্রমিকরা। হাসিনা পালানোর পরপরই ভারত সরকারের নেওয়া একাধিক সিদ্ধান্তের খেসারত এখনো দিতে হচ্ছে সেদেশের জনগণকে। এর ওপর এবার পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নতুন করে সংশয়ের জন্ম দিলো মোদির প্রশাসন।
কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা, পাটের একক সুতা, একক শণ সুতা, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, এই পণ্য গুলো স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় সম্প্রতি। ২৪ এর ৫ আগষ্ট হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর তাৎক্ষণাৎ মোদি প্রশাসন বাংলাদেশের জনগণদের ভারতে প্রবেশ অঘোষিতভাবে ভিসা না দেওয়ার মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়। এমনকি চিকিৎসা ভিসাও বন্ধ করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি।
এক মাস না পেরতেই মোদি সরাকার বুঝতে পারে হাসিনা প্রীতি দেখাতে গিয়ে নিজের জনগণের পায়েই কুড়াল মেরেছে তারা। বাংলাদেশি পর্যটক আর রোগীর অভাবে না খেয়ে মরার দশা হয় পশ্চিমবঙ্গের ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে শ্রমিকদের। এমনকি বন্ধ হয়ে যায় অসংখ্য হাসপাতাল-ক্লিনিক। এবার নতুন করে স্থল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ভারত সরকার পরেছে পেট্রাপোল স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের তোপের মুখে।
এই পথে পণ্য আমদানি বন্ধ হওয়ায় কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। আর রীতিমতো মাথায় হাত পাটজাত এসব পণ্যের ব্যবসায়ীদের। শতশত কোটি টাকা লোকসানের মুখে এখন ভারতীয় দাদারা। তাই বলাই যায়, মোদির মত প্রধানমন্ত্রী যে দেশের, সে দেশের জনগণের কি আর শত্রুর প্রয়োজন হয়?