কয়েক ডজন মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীরের প্রাণ গেল প্রতিপক্ষের হামলায়

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্সঃ

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ প্রায় দেড় ডজন মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২ জুলাই) ভোর রাতে ‍উপজেলার নলিন বাজারের ফেরার পথে শাখারিয়া স্লুইস গেট এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত মাদক, বালু ব্যবসা এবং চাঁদাবাজির টাকা ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বে তাকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহত চাকমা জাহাঙ্গীর গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের মধ্য শাখারিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গোপালপুর, ভূঞাপুর ও মির্জাপুর  থানায় মাদক, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অন্তত দেড় ডজন মামলা রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে চাকমা জাহাঙ্গীর অজ্ঞাত স্থান থেকে ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই বাজারে আসে। সেখান থেকে নলিন বাজারের ফেরার পথে শাখারিয়া স্লুইস গেট এলাকায় তারপর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় কুপিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সংকটাপন্ন অবস্থায় সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে। সেখানে জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

হেমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উমর আলী জানান, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অন্তত দেড় ডজন মামলা রয়েছে। তাছাড়া যমুনার ঘাটে অবৈধ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, সড়ক পথে ডাকাতি, নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজির সংঘবদ্ধ একটি গ্যাং চালাতো চাকমা জাহাঙ্গীর। এদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য টাঙ্গাইল ও জামালপুরের যমুনা তীরের জনপদ অশান্ত হয়ে উঠেছিল।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুক্তাদির আশরাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বহু মামলার আসামি সন্ত্রাসী চাকমা জাহাঙ্গীরের নাগাল পাচ্ছিল না পুলিশ। পরে প্রতিপক্ষের হাতে তিনি খুন হন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।

মুক্তিবাণী

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও