সংবাদ প্রতিবেদন: মৌলভীবাজার, ৩১ জুলাই ২০২৫ : রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি ফলাফল পর্যালোচনা ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্কুলের চরম সংকটগুলোর প্রতি তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব মোঃ তাজ উদ্দিন। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরের সমস্যা দখলদারিত্ব, শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামোগত দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেনি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
![]()
ফলাফল ও চ্যালেঞ্জ: ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়টির পাসের হার ৬১.৫৪%। তবে **বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা না থাকায়** কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করতে পারেনি। বর্তমানে ২৩৭ জন শিক্ষার্থী (ছাত্র ১৩৯, ছাত্রী ৯৮) মাত্র ৯ জন শিক্ষক (৬ পুরুষ + ৩ মহিলা) দ্বারা পাঠদান পাচ্ছেন, যা জাতীয় গড়ের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।
![]()
জমি দখল: দীর্ঘদিনের লড়াই বিদ্যালয়ের সামনে সরকারি জায়গা দখলকারীদের কবলে থাকায় খেলার মাঠ নেই। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় গত সরকারের সময় উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। স্কুল কমিটি ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও দখলদাররা আরও বেশি টাকার দাবি জানায়। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন জেলা প্রশাসকের কাছে জায়গা উদ্ধারের আবেদন জানান। ইউএনও তাজ উদ্দিন এবার “দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা” এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
![]()
জরুরি চাহিদা: ১. বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ: রাস্তার সাথে লাগোয়া খোলা পরিবেশে নিরাপত্তা হুমকি।
২. শিক্ষক সংকট সমাধান: বর্তমানে ১ জন শিক্ষকের বিপরীতে ২৬ জন শিক্ষার্থী।
৩. বিজ্ঞান-কমার্স শাখা চালু: ফলাফল উন্নয়নে অত্যাবশ্যক।
![]()
ইউএনও’র প্রতিশ্রুতি: জনাব তাজ উদ্দিন বলেন, “বিদ্যালয়ের জমি অবিলম্বে উদ্ধারে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এখানকার শিক্ষার্থীদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।” তিনি শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করারও আশ্বাস দেন।
![]()
ঐতিহাসিক পটভূমি: ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে মৌলভীবাজারের ১৩টি গ্রাম (কৈসাউড়, করমউল্লাপুর, বিরাইমাবাদ, বুড়িকোনা, নারায়নপুর, গল্লা, দিগম্বরপুর, রায়পুর, বানেশ্রী, পাড়াশিমুল, কান্দিগাঁও, বড়কাপন, রসুলপুর) এর শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে।
![]()
স্থানীয়দের আবেদন: অভিভাবক ও স্থানীয়রা বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্কুলটির প্রতি “বিশেষ দৃষ্টি” কামনা করেছেন। প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিনের মতে, “মাঠ ও বাউন্ডারি পেলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিপ্লব ঘটবে।”
![]()















পাঠকের মন্তব্য