রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। আহত অন্তত ১৬৫ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। বেশিরভাগই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত পৌনে ১টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ বছর বয়সী শিশু নাফির মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।আইএসপিআর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তালিকায় ২৭ জন নিহতের কথা বলা হয়, যাদের মধ্যে ২৩ জন শিশু। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২-এ পৌঁছায়। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের মধ্যে অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। ২০টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, ৬টি রাখা হয়েছে সিএমএইচের মর্গে। নিহত বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের মরদেহ রাজশাহীতে দাফন করা হয়েছে।
আইএসপিআরের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী আহতদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন-
বার্ন ইনস্টিটিউট: ৪৬ জনঢাকা মেডিকেল কলেজ: ৩ জনকুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল: ৮ জনসিএমএইচ: ২৮ জনলুবনা জেনারেল হাসপাতাল: ১৩ জনউত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: ৬০ জনউত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: ১ জনশহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ: ১ জনইউনাইটেড হাসপাতাল: ২ জনকুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: ৩ জন
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের মধ্যে দুজনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও এইচডিইউতে থাকা অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আরও ৩০ জন গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন। চিকিৎসায় দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পাশাপাশি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদেরও যুক্ত করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, আহতদের উন্নত চিকিৎসায় প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসক আনা হবে।













