সামাজিক দায়বদ্ধতায় থেকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন শাহাজাহান খান। শাহাজাহান খান মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার চেয়ারম্যান। ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ বিপুল ভোটে কাঁপ পিরিছ মার্কানিয়ে বিজয়ী হন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সোনার বাংলা বিনির্মানে একজন সৈনিক হিসাবে কাজ করাই যেন স্বপ্ন ছিলো, প্রবল ইচ্ছে ছিলো সমাজের জন্য কিছু করা। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের সাথে সাফল্যের সাথে কাজ করেন। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক নিজেই একটি সামাজিক উন্নয়ন মূলক সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার।

সমাজ গঠনের জন্য কিছু করতে পারাই যেন জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। সমাজের অনেকেই সাধুবাদ জানালেও। কিছু মানুষ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পিছপা হয় নাই। অদম্য সাহসী শাহাজাহান খান কে মানসিক ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে নাই। তিনি মনে করেন সমাজ উন্নয়নের একজন সৈনিক হিসাবে যত প্রতিবন্ধকতা থাকুক না কেন আমি সাধ্য মতো কাজ করে যাবো।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত এই শ্লোগানকে ধারণ করে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রতিরোধ, নারী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবা, প্রতিভা বিকশিত সমাজব্যবস্থা, পাখি, পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষা, শোষণ, দারিদ্র্য, দুর্নীতি মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলার গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও ইভটিজিং প্রতিরোধে আলোচনা সভার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সফল ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে অর্ধশতাধিক। কারগরি ও আর্থিক ভাবে আইনি সহায়তা প্রদান করেছে নির্যাতিত অসহায় নারীদের।

রাজনগরের ভিবিন্ন স্থানে শব্দ দূষণ রোধে যখন সবাই নিরব ভূমিকায় তখন শাহাজাহান খানের নেতৃত্বেই পরিবেশ রক্ষায় শব্দ দূষণ রোধে শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও আমাদের করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভার মাধ্যমে যুবকদের নিয়ে শব্দ দূষণ রোধে আইন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি,ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে চারা ও বীজ বিতরণ এবং আলোচনা সভার মাধ্যমে জেলায় বৃক্ষ রোপনের ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। রাজনগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা করেছে। শতাধিক তরুন যুবক সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে মাদকদ্রব্য পরিহার করে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক প্রতিরোধে সামনের কাতারে থেকে প্রতিহত করে চলেছে প্রতিনিয়ত। সারাদেশের ন্যায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আলোচনা সভার মাধ্যমে উপজেলার সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। করোনায় রাজনগরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছে। স্কুল ও কলেজে ভর্তির জন্য আর্থিক সহযোগিতা, ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা, ফরম ফিলাপের আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছে, রয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে নানামুখী অবদান। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিভা বিকশিত সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ের বেকার যুবক ও যুব নারীদের স্বনির্ভর করার অংশ হিসেবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বেকার যুবকদের গরু মোটাতাজা করন ও হাঁস-মুরগি প্রশিক্ষণ সহ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে সফলতার সাথে।

প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বেকার যুবক ও যুব নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে। অনেক বেকার যুবক হয়েছে স্বাবলম্বী। রাজনগর উপজেলায়  স্থানীয় উদ্যোক্তা তৈরীর জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরী করেছেন। দিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য পরামর্শ, প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে পাশে থেকে উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন। শীতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়াদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, করোনায় ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা, এতিম শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরন করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণ, জাতীয় সমাজসেবা দিবস, আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস, জাতীয় যুব দিবস, বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্বাধীনতা অম্লানে শ্রদাঞ্জলি অর্পণ করে থাকেন।

শান্তির পথে তরুণদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে অগ্রগতির মশাল হাতে যুবকদের প্রতিনিধি হয়ে মানবতার কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে গড়তে চান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত আগামীর সোনার বাংলা। শাহাজাহান খানের  এই কাজে সহযোগিতা এবং সবসময় পাশে যারা প্রেরণা যুগিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তার লালিত স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সফলতার সাথে কাজ করেছেন।২০২৩ সালের প্রথম থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে, আমার চোখে আগামীর রাজনগর। যার মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনাময়ের দিকে ধাপিত হবে রাজনগর।